মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ২২৮
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৮-০৪-২০২৫ ০২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-০৪-২০২৫ ০২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন
সানায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়ির পাশে হাঁটছে মানুষ। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হুথি-সমর্থিত সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে চলা এ সব হামলায় ইয়েমেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে।
আল মাসিরাহর খবরে বলা হয়, সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে সানার উত্তরে বানি আল-হারিথ জেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
হুথি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে সানাসহ আমরান ও সাদা গভর্নরেটেও বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সানার এক হামলায় আরও দুইজন নিহত হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।
আল মাসিরাহর আরও একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সাদা গভর্নরেটে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় একটি বন্দিশালা লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়, যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
হুথিদের পক্ষ থেকে হতাহতের যে সংখ্যা জানানো হয়েছে, তা অনুযায়ী, মার্চের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় এ পর্যন্ত ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) রোববার জানিয়েছে, গত দেড় মাসে ইয়েমেনে তারা ৮০০-রও বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে এবং শত শত হুথি যোদ্ধা ও নেতাকে হত্যা করেছে। তবে তারা বলেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে এই হামলাগুলোর সুনির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করা হবে না।
“আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে আমাদের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করি, কিন্তু কি করেছি বা ভবিষ্যতে কী করবো, তার বিস্তারিত আমরা প্রকাশ করবো না,” সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী তাদের বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ১৫ মার্চ থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাচ্ছে, কারণ হুথিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। হুথিরা দাবি করেছে, গাজার যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে তারা ইসরায়েল সংযুক্ত জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
১৮ এপ্রিল রস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছিল; এটি ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশলও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান হুথি বিদ্রোহীদের প্রধান সমর্থক।
যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলার জন্য দুটি বিমানবাহী রণতরী – ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং ইউএসএস কার্ল ভিনসন – ব্যবহার করছে, যা যথাক্রমে লোহিত সাগর ও আরব সাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে, হুথিরা এখনও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ড্রোন লক্ষ্য করেও আঘাত হানছে ইয়েমেনের ইরানপন্থি এই সশস্ত্র সংগঠনটি।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স